মানবতাবিরোধী অপরাধ ও হত্যার বিষয়ে মামলা নিয়ে বাণিজ্য শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, এতে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে জবাবদিহি করা হবে।
রাজধানীর নগর ভবনে আজ সোমবার ঢাকা বিভাগে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের শতাধিক পরিবারকে দ্বিতীয় ধাপে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মামলা-বাণিজ্য শুরু হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ, হত্যার বিচারের দাবিতে ব্যবসা শুরু হয়েছে আমাদের সমাজে। তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করব। অবশ্যই তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’ মামলাগুলো শুদ্ধভাবে করার জন্য উপদেষ্টা তাগিদ দেন।
শহীদ পরিবারের মামলাগুলোয় আইনি সহযোগিতা দেওয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয় আগামী সাত দিনের মধ্যে আলাদা সেল গঠন করবে, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এর বাইরে সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার, তাও করা হবে।
পুলিশ কাজ করছে না, এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা প্রশ্ন রাখেন, যে পুলিশ গণহত্যাকারীদের প্রধান বাহিনী ছিল, তারা কি তাদের বিচারের প্রতি আগ্রহ দেখাবে?
আসিফ নজরুল বলেন, গত সরকারের আমলে বলে-কয়ে গোপালগঞ্জের ছেলেদের, ছাত্রলীগের ছেলেদের নেওয়া হতো। পুলিশ বাহিনীর ১০ জনের মধ্যে যদি ৮ জনের হৃদয়ে বাকশাল থাকে এবং তারা যদি আওয়ামী লীগ পরিবার ও গোপালগঞ্জের হয়, সেই পুলিশ নিয়ে কী কাজ করা সোজা ব্যাপার, এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।