নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-নির্ভর অর্থনৈতিক কাঠামো পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গত ৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডল মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সরকারকে ১৩টি প্রস্তাব দিয়েছিল গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। ১৩টি প্রস্তাব কতটা বাস্তবায়িত হলো সে বিষয়ে বলতে গিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আজ ওয়াসা, রেলওয়ে, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য খাতে যে নৈরাজ্য, মূল্যবৃদ্ধি তাতে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকল্পের কারণে যে জাতীয় ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে চুক্তিগুলো আছে, বিশেষত—সর্বশেষ হাসিনা সরকার পতনের কয়েক দিন আগে ট্রানজিটের ক্ষেত্রে হওয়া বিশেষ চুক্তিগুলো প্রকাশ করতে হবে এবং চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে স্বাধীন দেশ হিসেবে সম্পর্ক যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’ এ সময় তিনি জনগণের সম্মতি ছাড়া কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় চুক্তি না করার পরামর্শও দেন।
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির প্রস্তাবনার মধ্যে আরও ছিল—অভ্যুত্থানে শহীদ ও নিখোঁজ আহতদের পূর্ণ তালিকা প্রকাশ এবং পরিবারের সামগ্রিক দায়িত্ব গ্রহণ, একটি গণতান্ত্রিক সংবিধানের রূপরেখা প্রকাশ, বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়।
‘অন্তর্বর্তী সরকারের আশু করণীয় প্রস্তাব ১০০ দিনে কতটা বাস্তবায়ন হলো?’—শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল্লাহ ক্বাফি, হারুনুর রশিদ, সীমা দত্ত প্রমুখ।