নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চীনের সঙ্গে করা সাড়ে সাত কোটি টিকা চুক্তির আরও ২০ লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে। এই নিয়ে দেশটি থেকে কেনা এক কোটি টিকা আসল। চুক্তির পর এটাই প্রথম কোনো দেশের কাছ থেকে কোটি টিকা পাওয়ার রেকর্ড বাংলাদেশের।
এর আগে ভারতের সেরামের সঙ্গে তিন কোটি টিকা কেনার চুক্তি করলেও ৭০ লাখ আসার পর আটকে যায়। বাকি টিকা এখনো পাওয়া যায়নি। কবে নাগাদ আসতে পারে সেটিও অজানা।
সোমবার দিবাগত রাত ২টা ১০ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকাগুলো বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট অবতরণ করে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ টিকাগুলো গ্রহণ করেছে।
কেনার পাশাপাশি চীন থেকে উপহার ও কোভ্যাক্সের মাধ্যমেও ৫৫ লাখ ৭১ হাজার ৬০০ ডোজ পেয়েছে বাংলাদেশ।
নতুন করে ২০ লাখ আসায় বিভিন্ন মাধ্যমে এখন পর্যন্ত টিকা পাওয়ার পরিমাণ ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৩১ হাজার ৬০৭ ডোজে পৌঁছেছে।
চীন ছাড়াও ভারতের উপহার হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এসেছে ৩৩ লাখ। একই টিকার ৭০ লাখ ডোজ এসেছে সেরামের কাছ থেকে। টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে তিন কোটি টিকার চুক্তি করেছে সরকার। এ ছাড়া কোভ্যাক্সের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মডার্নার ৫৫ লাখ, ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ এবং জাপান থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০ লাখ ৫৯ হাজার ৩৮৭ ডোজ টিকা এসেছে।
এদিকে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগামী বুধবার ফাইজারের আরও ১০ লাখ টিকা আসছে। এদিন বিকেল ৫টার দিকে কাতার এয়ারলাইনসের একটি বিমান টিকাগুলো নিয়ে দেশে পৌঁছার কথা রয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৩১ মে একই মাধ্যমে একই টিকার এক লাখ ৬২০ ডোজ পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।