নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সারা দেশে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। গত মঙ্গলবার রাত থেকে এই অভিযান শুরু হয়। থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র, লাইসেন্স স্থগিত করার পরও জমা না দেওয়া অস্ত্র এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে সেনা, পুলিশ, আনসার সদস্যদের নিয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী।
পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দেশে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলছে। বৃহস্পতিবার সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় কত অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, সে বিষয়ে জানা যাবে।
তবে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার সারা দেশের কয়েকটি স্থানে অভিযান চলেছে। তবে দু-এক দিনের মধ্যে পুরোদমে অভিযান চলবে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তালিকা করা হয়েছে। এই তালিকা দেখে উদ্ধার অভিযান চলবে।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে লুট হওয়া অস্ত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তা না হলে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এরপরও তেমন সাড়া না মেলায় লুট হওয়া অস্ত্র এবং অন্যান্য অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হলেও গত ১৫ দিনে লুট হওয়া অস্ত্রের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ বিভিন্নভাবে উদ্ধার হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের বেশির ভাগ থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ ফেলে থানা থেকে পালিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। এ সময় থানাগুলোতে থাকা অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটপাট হয়। এসব অস্ত্রশস্ত্র দুর্বৃত্তদের হাতে চলে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।