নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পৃথকভাবে এ নির্দেশ দেন।
সাবেক মন্ত্রী নওফেলের নথি জব্দের আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক কমলেশ মণ্ডল। আবেদনে বলা হয়, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অসৎ উদ্দেশ্যে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২ কোটি ২৭ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। এসব সম্পদ ভোগদখলে রেখে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ৪১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ১১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৮ টাকা লেনদেন করেছেন।
মানি লন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তা স্থানান্তর করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় ইতিমধ্যে মামলা করা হয়েছে। এই অবস্থায় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির আয়কর নথি জব্দের আবেদন করা হয়েছে। আয়কর নথি পর্যালোচনা করে তাঁর মামলার বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব।
এদিকে নসরুল হামিদের বিপুর স্ত্রী সীমা হামিদের আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক কমলেশ মণ্ডল।
আবেদনে বলা হয়েছে, সীমা হামিদ (৫৮) তাঁর নামে অর্জিত মোট সম্পদের মধ্যে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৪ টাকার সম্পদ অসৎ উদ্দেশ্যে, অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রাখেন। সেই সঙ্গে নিজ নামে ২০টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৯ টাকা জমা ও ১১ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৮ টাকা উত্তোলনের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেন।
মানি লন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের ইতিমধ্যে মামলা করেছে। মামলাটি তদন্তাধীন। তদন্তের জন্য আয়কর নথি জব্দ করা প্রয়োজন।