এবারের ঈদযাত্রায় ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি রোধে কঠোর নজরদারি ছিল, ফলে রেলওয়ের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী এই অপকর্মে জড়ানোর সাহস পাননি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। পাশাপাশি সড়কে যে চাঁদাবাজি চলত, তাও এবার বন্ধ রয়েছে।
আজ রোববার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, ঈদযাত্রার সময় প্রতি বছর ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং তাতে রেলওয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীও জড়িয়ে পড়ে। এবার আমরা এটি কঠোরভাবে নজরদারির মধ্যে রেখেছিলাম। ফলে কেউ টিকিট কালোবাজারিতে জড়ানোর সুযোগ বা সাহস পায়নি, যাত্রীদের কোনো অসুবিধা হয়নি।’
সড়কপথের মতো ট্রেনযাত্রাও এবার স্বস্তিদায়ক হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘পথে পথে চাঁদাবাজি চলত, গাড়ি থামানো হতো—এবার সেটাও হয়নি। কেউ এটি করার সাহস বা সুযোগ পায়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট ছিলেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেছেন। সব মিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রা ইতিবাচক ফলাফল এনেছে।’
যাত্রীদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি, সবাই খুশি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার তারা স্বস্তিতে যাত্রা করতে পারছে। কোনো বাড়তি টাকাপয়সা চাওয়া হচ্ছে না, যাত্রীরা এটাই জানিয়েছে। তারা ভালোভাবে গন্তব্যে পৌঁছালে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে।’
এই সময়ে রেলের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেনসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।