আগামী শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের (আগের নাম কর্ণফুলী টানেল) দ্বিতীয় টিউবের মুখ খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ডিসেম্বরে খুলে দেওয়ার কথা ছিল। তবে কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় আগামী শুক্রবার খুলে দেওয়া হবে। এই টানেল সময়ের আগে খুলে দেওয়ার কারণে ব্যয় কিছুটা হলেও সাশ্রয় হবে। আগামী শুক্রবার মধ্যরাতে টানেলের দ্বিতীয় মুখ উন্মোচন করা হবে। তবে এখনই পরিবহন যাতায়াত করতে পারবে না। পুরোপুরি সম্পন্ন করতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে।
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ৪ লেন বিশিষ্ট সড়ক টানেল নির্মাণ করা হয়েছে। মূল টানেল দুটি টিউব সম্বলিত ও ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশশিক ৩৫ কিলোমিটার এপ্রোচ রোড এবং ৭২৭ মিটার ওভার ব্রিজ (ভয়াডাক্ট) সম্পন্ন এই টানেলটি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাকে শহরাঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
এর প্রকল্প ব্যয় ৯ হাজার ৮৮০ দশমিক ৪০ কোটি টাকা। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সহয়তা ৩ হাজার ৯৬৭ দশমিক ২১ কোটি টাকা এবং চীন সরকারের অর্থ সহয়তা ৫ হাজার ৯১৩ দশমিক ১৯ কোটি টাকা।
এদিকে একনেক বৈঠকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুধু কারখানার ভেতরে না করে কারখানা এলাকায় ইটিপি স্থাপনে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, কোনো প্রকল্পে বৈদেশিক সহায়তা না পেলে রিজার্ভ থেকেও ঋণ নেওয়া যেতে পারে এবং ওই ঋণ রির্জাভ থেকেই শোধ করতে হবে। কোনো এলাকা যাতে অবহেলিত না হয় সেজন্য দেশের সব এলাকায় সমানভাবে উন্নয়ন কাজ করা এবং নদী ও খাল নিয়মিত ড্রেজিংয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
আজ একনেক সভায় ৬ হাজার ৫১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।