নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘যাত্রীসেবা ও পণ্য পরিবহনে শ্রমিকদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা মানুষকে সেবা দিতে চাই। বাংলার মানুষ যেন মনে করে আমরা তাদের পাশে আছি। বাংলার মানুষ একটু সহযোগিতা পেলেই খুশি থাকে। যাত্রী সেবায় শ্রমিকদের আরও মনযোগ দিতে হবে। একসঙ্গে সবাইকে নিয়ে ঈদের আনন্দ পেতে চাই। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন ঈদের আনন্দকে মলিন করে না দেয় সেদিকে সচেষ্ট থাকতে হবে।’
আজ ঢাকা সদরঘাট টার্মিনালে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌযান শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। দেশের ২০টি নদী বন্দরে ৬,৫০০ প্যাকেট খাদ্য বিতরণ করা হয়। প্রতি প্যাকেটে এক কেজি পোলার চাল, এক কেজি লাচ্ছা-সেমাই, এক কেজি চিনি, হাফ লিটার তেল ও এক কেজি লবণ রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) যাত্রী ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থাপনায় সেবা দিয়ে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতি, জীবন-জীবিকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদেরও সেবা দিয়ে থাকে। করোনার সময়ে বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিকদের পাশে ছিল। করোনা মহামারির সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে এবং মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত রাখতে কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সুচিন্তিত ব্যবস্থাপনায় খেটে খাওয়া মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী জীবন ও জীবিকার কথা বলেছেন-যা খুবই প্রশংসিত হয়েছে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, পরিচালক (বন্দর) ওয়াকিল নেওয়াজ, ঢাকা নদী বন্দরের কর্মকর্তা (যুগ্ম পরিচালক) আলমগীর কবির উপস্থিত ছিলেন।