কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজের নাম ও রং পরিবর্তন করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরঞ্জাম পাঠানোর কাজটি রাশিয়া জেনেশুনেই করেছে বলে মনে করে সরকার। আজ রোববার এ বিষয়টি স্পষ্ট করেই বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া জেনেশুনে নাম পরিবর্তন করে একটি জাহাজে মালপত্র পাঠিয়েছে। আমরা এটা আশা করিনি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়ার শত শত জাহাজ আছে। এর মধ্যে ৬৯টি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। এগুলো ছাড়া যে কোনো মালামাল পাঠাতে পারত।’
এ বিষয়টি নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ‘উরসা মেজর’ নামের জাহাজটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম নিয়ে গত বছরের ১৪ নভেম্বর রাশিয়া থেকে মোংলা বন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করে। ‘স্পার্টা’-৩ নামের একটি রুশ জাহাজের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জাহাজটি নাম ও রং পরিবর্তন করে ‘উরসা মেজর’ নামে চলছে—এমন তথ্য ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বাংলাদেশ সরকারের নজরে আনে। এরপর জাহাজটিকে দেশের সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করতে দিতে অস্বীকৃতি জানায় সরকার।
রুশ কর্তৃপক্ষ জাহাজটি ভারতে নিয়ে পণ্য খালাস করে সড়ক পথে পাঠানোর পরিকল্পনার কথা বাংলাদেশ সরকারকে জানায়। পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে মালামাল খালাসের জন্য ১৪ দিন অপেক্ষার পর জাহাজটি জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ফিরে গেছে বলে জানিয়েছেন কূটনীতিকেরা।