নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন মন্তব্য করে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে অধিক হারে নারীর অন্তর্ভুক্তি ও তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত হওয়া বৈষম্য দূরীকরণের অনন্য দৃষ্টান্ত। সংসদে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও বিরোধী দলীয় নেত্রীসহ ৭৩ জন নারী সদস্য আইন প্রণয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
রুয়ান্ডার কিগালিতে ১৪৫তম ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) সম্মেলনে ‘দৃঢ় ও শান্তিময় পৃথিবী গঠনের চালিকাশক্তি জেন্ডার-ভারসাম্যপূর্ণ ও জেন্ডার-সংবেদনশীল-সংসদ’ শীর্ষক সাধারণ আলোচনায় এসব কথা বলেন ডেপুটি স্পিকার। জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইন বিভাগ ছাড়াও নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ পদে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়ে শামসুল হক টুকু বলেন, ‘সকল ক্ষেত্রে নারীদের পুরুষের সঙ্গে রেখে অথবা নারী-নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জাতির পিতার কন্যা।’
ডেপুটি স্পিকার বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে এরপর তিনি দেশকে একটি সংবিধান উপহার দেন। বর্তমানে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করেন। আর এ সকল অর্জনে নারীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
নারীদের অগ্রায়নে প্রধান ভূমিকা রাখায় শেখ হাসিনা সাউথ-সাউথ, ট্রি অফ পিস, প্ল্যানেট ৫০-৫০ এর মত বৈশ্বিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার লাভ করেন বলে জানান ডেপুটি স্পিকার।
সাধারণ আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, আক্তারুজ্জামান বাবু, সাহাদারা মান্নান ও শামসুন নাহার।