হোম > জাতীয়

পদ্মা সেতু পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে বছরে জিডিপিতে যোগ হবে ১০ বিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পদ্মা সেতুর সড়ক এবং রেল উভয় অংশ চালু হলে দেশের জিডিপিতে প্রতিবছর যোগ হবে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার। ফলে পদ্মা সেতু নির্মাণের যে খরচ তা উঠে আসবে তার ৩ গুণ যোগ হবে আমাদের অর্থনীতিতে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান এ কথা বলেছেন। 

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটি কর্তৃক আয়োজিত ‘জাতীয় অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব’—শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন। 

ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ‘আমাদের জিডিপি ৪৫০ বিলিয়ন ডলার হলে রেল এবং সেতু একত্রে চালু হলে আমাদের অর্থনীতিতে বছরে ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ১০ বিলিয়ন ডলার যোগ করবে। পদ্মা সেতু নির্মাণে আমাদের যে খরচ ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার তার সাড়ে ৩ গুন বেশি আমাদের অর্থনীতিতে যোগ করবে।’ 

ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত, সামাজিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং পরিবেশবান্ধব দেশ হিসেবে দেখতে চাই। আর এসব অর্জনে পদ্মা সেতু হবে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল অনুঘটক।’ 

ড. মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ফলে বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যে অর্থনৈতিক বিভাজন ছিল পদ্মা সেতুর মাধ্যমে তা নিরসন হবে। পদ্মা সেতু আমাদের জিডিপিতে ১ দশমিক ২ শতাংশ যোগ করবে। আর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে ২ শতাংশেরও বেশি অবদান রাখবে।’ 

সিপিডির ফেলো বলেন, ‘দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের যে ১৩ জেলা দারিদ্র্যসীমার নিচে আছে তাদের আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে নিয়ে এসে ২০৪১ সালের অভীষ্ট উন্নত দেশের দিকে যাত্রা করতে পারব। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও উন্নয়নের পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোকে একীভূত করতে পারব।’ 

পদ্মা সেতুকে অর্থনৈতিক করিডর উল্লেখ করে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পদ্মা সেতুকে শুধু একটা সেতু এবং যোগাযোগ করিডর হিসেবে চিন্তা না করে আমাদের চিন্তা করতে হবে অর্থনৈতিক করিডর হিসেবে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে আমরা ট্রান্সপোর্ট কানেকটিভিটি, ইনভেস্টমেন্ট কানেকটিভিটি, জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগ স্থাপন করতে পারব। পদ্মা সেতু চালু হলে মোংলা ও পায়রা পোর্ট আমাদের অর্থনীতির মূল সঞ্চালক হিসেবে কাজ করবে। এই সেতু অর্থনৈতিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে শুধু বাংলাদেশে নয় বরং ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের মূল চালিকা শক্তি হবে এই সেতু। পদ্মা সেতুকে কাজে লাগিয়ে আমরা ভারত, ভুটান, নেপালের সঙ্গে একটা আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট গঠন করতে পারবে।’ 

 ‘ভারত বছরে ৪৫০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করে আর আমাদের কাছ থেকে ক্রয় করে ২ বিলিয়ন ডলার। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ভবিষ্যতে যেই এই আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট হতে যাচ্ছে তা বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের উন্নয়ন অনুঘটক হয়েছে কাজ করবে’—বলেও উল্লেখ করেন মোস্তাফিজুর রহমান। 

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন, আব্দুস সালাম মুর্শেদী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ সহ উপকমিটির অন্যান্য নেতারা। 

আঞ্চলিক রেল যোগাযোগ স্থাপনে পদ্মা সেতু ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পদ্মা রেল সেতু এশিয়ান, ট্রান্স এশিয়ান ও প্যান এশিয়ান রেল ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ 

সাংবাদিক আনিস আলমগীরের মুক্তি চায় অ্যামনেস্টি

জিয়াউলের বিরুদ্ধে শতাধিক ব্যক্তিকে গুম-খুনের অভিযোগ আমলে নিলেন ট্রাইব্যুনাল

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

৮ ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে অর্ধশতকোটি টাকা লুট

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি

সৌদি আরবে বিনা অনুমতিতে রাজনৈতিক সভা করায় কয়েকজন বাংলাদেশি আটক, সতর্ক করল দূতাবাস

নিজের বিচার সরাসরি সম্প্রচার চান হাসানুল হক ইনু

২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে অমর একুশে বইমেলা

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে ভারতের ‘নসিহত’ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা