ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদী তিস্তার বাংলাদেশ অংশে নদীশাসনের জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় চীন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে। একটি প্রকল্প প্রস্তাবও জমা দিয়েছে দেশটি। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন রোববার (২৮ জানুয়ারি) জানান, বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে এ বিষয়ে একটি ফিরতি প্রস্তাবের অপেক্ষায় আছে তাঁর দেশ।
রোববার ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর চীনা রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন অঙ্গীকারবদ্ধ, এমনটি জানিয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশের কাছ থেকে ফিরতি প্রস্তাবের অপেক্ষায় আছে তাঁর দেশ। প্রস্তাব এলে বাংলাদেশের সঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী আলোচনা হবে।
২০১৬ সালে চীনের সঙ্গে নদী শাসন বিষয়ে চুক্তিটি সই হয়। পরবর্তীতে ভারতের আপত্তির মুখে তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে চীনা প্রকল্পটি আটকে যায় বলে সরকারি কয়েকটি সূত্র জানায়।
মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত পাঠানো প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রত্যাবাসন এখন কিছুটা সমস্যার মুখে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে চীন কাজ করছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত চলছে। এ অবস্থায় অস্ত্রবিরতির জন্য চীন মধ্যস্থতা করছে। রাখাইনে অস্ত্রবিরতি প্রতিষ্ঠা হলে সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। এতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আবার আলোচনার পথ সুগম হবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আলোচনায় আস্থাশীল থাকা উচিত।’
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদও বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য এখন অনুকূল সময় নয়। তবে আশা করা হচ্ছে, প্রত্যাবাসন শিগগিরই শুরু করা যাবে।’ চীনা রাষ্ট্রদূত দ্রুততম সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।