বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘ আজ শনিবার সকালে ভাসানচর সম্পর্কিত একটি সমঝোতা সই করেছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর কর্তৃক সই করা এই সমঝোতার মাধ্যমে দ্বীপটিতে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক কার্যক্রমের সুরক্ষা ও নীতিমালার একটি সার্বজনীন কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হলো। ঢাকায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, এই সমঝোতার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সরকারের ও জনগণের উদারতা ও সহায়তা আবারও প্রতিফলিত হয়। পাশাপাশি এদেশে আশ্রিত প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর মানবিক সহায়তায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের জন্য জাতিসংঘের সহায়তা চালু রাখার প্রত্যয়ও আরেকবার ফুটে ওঠে।
ভাসানচরবিষয়ক এই ঐকমত্যের মাধ্যমে দ্বীপটিতে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সেবা ও কার্যক্রমে সরকার ও জাতিসংঘের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা সম্ভব হবে। এগুলোর মাঝে আছে সুরক্ষা, শিক্ষা, দক্ষতা প্রশিক্ষণ, জীবিকা ও স্বাস্থ্যসেবা; যার মাধ্যমে শরণার্থীরা দ্বীপে মানসম্মত জীবন যাপন করতে পারবে এবং ভবিষ্যতে মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সমঝোতা সইয়ের আগে জাতিসংঘ কক্সবাজারে ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মতামত জানার জন্য তাদের সাথে আলোচনা করেছে এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে দ্বীপটি পরিদর্শন করেছে। শরণার্থীদের সাথে এবং সরকার ও বাংলাদেশি এনজিওগুলোর সঙ্গে এরকম আলোচনা নিয়মিত ভিত্তিতে চালু থাকবে; আর এটি ভাসানচরের মানবিক ও সুরক্ষা কার্যক্রমের জন্য সহায়ক হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য চলমান মানবিক কার্যক্রমের এ বছরের জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান এখন পর্যন্ত অর্ধেকেরও কম অর্থায়ন হয়েছে। চলমান সহায়তা বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জাতিসংঘ আহ্বান করছে।
এ দেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আকাঙক্ষা নিরাপদে, স্বেচ্ছায়, মর্যাদার সঙ্গে ও টেকসইভাবে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া। জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকার সেই অগ্রাধিকার নিয়েই কাজ করছে। আর এটি যত দিন সম্ভব না হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত এই সহায়তা চলমান থাকবে।