ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের কাছে যারা প্রতারিত হয়েছেন তাঁদের টাকা সরকারকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। তিনি বলেছেন, সরকারের গাফিলতির কারণে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জের মতো প্রতিষ্ঠান ব্যবসার নামে প্রতারণা করে হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। যারা টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন তাঁদের টাকা সরকারকে ফিরিয়ে দিতে হবে। পরে সরকার ওইসব প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা আদায় করবে।
আজ বৃহস্পতিবার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ অনেক ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার সময়ই বোঝা গিয়েছিল তারা প্রতারণা করবে। তারা অর্ধেক দামে পণ্য বিক্রির অফার দিয়েছিল। প্রচুর মানুষ বিনিয়োগ করেছে। এখন হাজার কোটি টাকা নিয়ে তারা আর পণ্য দিচ্ছে না। শুধু মানুষকে দোষ দিলে হবে না। এই প্রতিষ্ঠানগুলো গোপনে ব্যবসা করেনি।
বিএনপি দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, যে পরিমাণ বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা ব্যবসা করেছে তাতে সরকারের নীতিনির্ধারকদের এটি না জানার কথা নয়। তারা ক্রিকেট দলের স্পন্সরও হয়েছিল। অন্য সবকিছু বাদ দিলেও প্রতিযোগিতা আইন অনুযায়ী, এই ধরনের ব্যবসা চলতে পারে না। কিন্তু সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, তিনি তিনটি বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিলেন। এর মধ্যে যদি সংসদীয় ভাষার মধ্যে কোনো ত্রুটি থাকে, দয়া করে আপনি আমাকে শিক্ষা দেবেন। কিন্তু ৪ সেপ্টেম্বর সংসদে সরকারদলীয় হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ বললেন, ‘এমপি হারুনের পরীমণির প্রতি আগ্রহ কী কারণে!’
তিনি বলেন, আজকের (বৃহস্পতিবার) অধিকাংশ পত্রিকায় পরীমণির সংবাদ রয়েছে। তাঁকে বারবার কেন রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এই জন্য দুই বিচারক হাইকোর্টে ক্ষমা চেয়েছেন। বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন।
এমপি হারুন বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে স্বপনের বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানান তিনি। আশা করি, সংসদের আগামী অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দেবেন বলেও আশা করেন হারুনুর রশিদ।
অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান বলেন, অবৈধ ভিওআইপির ভয়াবহ সিন্ডিকেটের কারণে সরকার বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে। মাসে ৩৭৫ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত টেলিটক। এ বিষয়ে জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন তিনি।