Ajker Patrika
হোম > জাতীয়

মার্চ মাসে কমেছে বন্দুকযুদ্ধ, বেড়েছে হেফাজতে মৃত্যু: এমএসএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মার্চ মাসে কমেছে বন্দুকযুদ্ধ, বেড়েছে হেফাজতে মৃত্যু: এমএসএফ

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা বন্দুকযুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা আগের থেকে কমলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু অত্যন্ত উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে বলে একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। মার্চ মাসের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যালোচনা করে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা বন্দুকযুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা কমেছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতন, কারা হেফাজতে মৃত্যু বেড়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ছাড়া ধর্ষণসহ নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ নাগরিকদের বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন চিন্তা, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং মতামত প্রকাশের অধিকার প্রয়োগের পথ রুদ্ধ করার মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। একই সঙ্গে সীমান্তে হত্যা, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে হুমকি ও হামলা, এমনকি গণপিটুনির মতো ঘটনাগুলো বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এমএসএফ। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে একজন এবং পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের পর আরও দুজনের কারাগারে মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। র‍্যাবের হাতে আটকের পর চট্টগ্রামে বিএনপির সাবেক নেতা নুরুল ইসলাম, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের হাজতি জহিরুল হাওলাদার, লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের মাদক মামলার অভিযুক্ত হাজতি মো. সায়েদ হোসেন, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ইতালিপ্রবাসী চাঁন মিয়া হাওলাদার, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিজিবি গুলি ছোড়ার পর একজন এবং বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুই দল পাহাড়ির গোলাগুলির পর চারজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। 

মানবাধিকার সংগঠনটি বলছে, মার্চ মাসে কারা হেফাজতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে মৃতদের মধ্যে ছয়জন কয়েদি ও এক বিদেশি নারীসহ চারজন হাজতি। গত মাসের তুলনায় কারা হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও তা উদ্বেগজনক। 

মার্চ মাসে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে হত্যার শিকার হয়েছেন দুজন, গুলিতে আহত হয়েছেন দুজন এবং ভারতীয় নাগরিকদের পিটুনিতে একজন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। সীমান্ত এলাকায় এক নারীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে, ১৭ জন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ। 

দেশে ধর্ষণ, হত্যা ও পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা বিগত মাসগুলোর তুলনায় বেড়েছে জানিয়ে এটিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলছে এমএসএফ। গত মাসে ৩৯৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৬৯টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ২৩টি, ধর্ষণ ও হত্যা ৩টি। প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ছয়জন। 

মার্চ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ছয়টি মামলায় দুজন আইনজীবী, একজন সাংবাদিক, একজন বিরোধী দলীয় নেতার ভাই ও একজন প্রবাসীসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ৩৫ জন সাংবাদিক হুমকি, হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, ঢাকা, ভোলা, পটুয়াখালী ও রাজশাহীতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের সাতটি ঘটনা ঘটেছে। আর আটটি গণপিটুনি ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছে এমএসএফ।

গুমের দায় ব্যক্তির, বাহিনীর নয়: কমিশন

কর্মিসভায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

১৭৫২টি গুমের অভিযোগ জমা পড়েছে: কমিশনের সভাপতি

পুলিশ লাইনে গোপন বন্দিশালার খোঁজ মিলেছে: গুম কমিশন

ভারতের কারাগারে বন্দী ১০৬৭ বাংলাদেশির তালিকা পাওয়া গেছে: গুম সংক্রান্ত কমিশন

মশার দাপটে অসহায় জনজীবন

অরক্ষিত মহাসড়ক, কমেছে রাতের বাসের যাত্রী

ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্ভবত নির্বাচন: ইইউকে ইউনূস

বেওয়ারিশ লাশ যেন আর না থাকে: প্রধান উপদেষ্টা