নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মাশরুম অত্যন্ত উপকারী খাবার, তাই মাশরুমকে জনপ্রিয় করার তাগিদ দিয়েয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। তিনি বলেন, মাশরুম চাষ অনেক দিন ধরে হয়ে আসছে। এতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মাশরুম অত্যন্ত উপকারী। এটাকে যদি প্রচার বাড়িয়ে জনপ্রিয় করতে পারি, তাহলে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের অডিটরিয়ামে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ নিয়ে আয়োজিত জাতীয় সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারের আয়োজন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাশরুমচাষিরা অংশ নেন।
কৃষিকে কর্মসংস্থানের হাব হিসেবে তৈরি করা দরকার উল্লেখ করে মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, ‘কর্মসংস্থান হাব তৈরি করতে পারলে বেকার থাকবে না। আমরা সত্যিকারের গবেষণা চাই, শুধু শুধু ৭৭ প্রকারের গবেষণা করলে হবে না—যা দিয়ে কাজ হয় না। তিনি মাঠে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয় এমন ১০ প্রকারের ধানের তালিকা করার আহ্বান জানান। তা ছাড়া অন্যান্য শস্যের ক্ষেত্রেও তাই করতে হবে। প্রত্যেক কৃষি ব্লক অফিসার যেন মাশরুম চাষ সম্পর্কে জানে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে মাশরুম প্রকল্প সম্পর্কে উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মোছা. আখতার জাহান কাঁকন।
রাঙামাটির সুমেধ চাকমা ২০২১ সাল থেকে মাশরুম চাষ করছেন। তিনি জানান, তাঁদের অঞ্চলে প্রায় ১০০ জন উদ্যোক্তা মাশরুম চাষ করছেন। সুমেধ নিজে প্রতি মাসে ৫-১০ কেজি করে মাশরুম উৎপাদন করেন। এসব প্রতি কেজি সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে পারেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলমের সভাপতিত্ব আরও বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, জাকির হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সাহিনুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ।