পরিবেশ, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা পরিপন্থী এবং জাতীয় প্রতীকের সমন্বয়ে গঠিত কোনো শিল্প-নকশা মালিকানা স্বত্ব পাবে না। এমন বিধান রেখে মঙ্গলবার সংসদে ‘বাংলাদেশ শিল্প-নকশা বিল ২০২২’ উত্থাপন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বিলটি সংসদে তোলার পর তা পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
দ্য পেটেন্ট অ্যান্ড ডিজাইন অ্যাক্ট–১৯১১ রহিত করে নতুন করে এই আইনটি তোলা হয়েছে। এ আগে বিলটি গত ২৫ জুলাই মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। বিলে আইনের অধীনে, বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফি প্রদান সাপেক্ষে শিল্প-নকশার নিবন্ধনের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। কারও যদি এক্সক্লুসিভ ও এক্সট্রা অর্ডিনারি কোনোরকম কিছু থাকে, তাহলে তিনি দরখাস্ত দিলে তাঁর ক্ষেত্রে আরও পাঁচ বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে।
বিলের বিধান অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে যদি শিল্প-নকশা নিবন্ধিত হয়, অন্যকে প্রতারণা মূলকভাবে যদি ব্যবহার করে তবে মালিক ক্ষতিপূরণ পাবেন। সিভিল আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যমান আইনে ডিজাইন এবং ট্রেডমার্কস রেজিস্ট্রার অধিদপ্তর ছিল, প্রস্তাবিত আইনেও সেটা বহাল থাকবে। এই অধিদপ্তরের অধীনে একটি শিল্প ইউনিট থাকবে। এই আইনের অধীনে শিল্প-নকশা নিবন্ধন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার রেজুলেশন অনুযায়ী এই সংসদে এই বিল আনা হয়েছে।