মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা না পেলে, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে? আমার প্রশ্ন দেশবাসীর কাছে। রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে, মুক্তিযোদ্ধারা পাবে না? অপরাধটা কী? নিজের জীবন বাজি রেখে, সংসার সব ফেলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। দিনরাত খেয়ে না খেয়ে, কাদামাটি ভেঙে, রোদ-বৃষ্টি-ঝড় মোকাবিলা করে যুদ্ধ করে এ দেশের বিজয় এনেছে। বিজয় এনে দিয়েছিল বলে সবাই উচ্চপদে আসীন। না হলে পাকিস্তানিদের বুটের লাথি খেয়ে চলতে হতো।’
আজ রোববার গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
পাকিস্তান আমলে বাঙালিরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতো, সেগুলো তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলে-মেয়েরা তো সেগুলো দেখেনি। ১৫-২০ বছর আগের কী অবস্থা ছিল, সেটাও সকলে জানে না। বিএনপির আমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রবাজি-সেশনজট, দেশে শিক্ষাব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানের ছিল না বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে সকলের হাতে মোবাইল ফোন। সকলে ফটাফট যোগাযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় করে, আন্দোলন করে। এ মোবাইল ফোন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে কার হাতে ছিল? মোবাইল বেসরকারিভাবে উন্মুক্ত করে আওয়ামী লীগ।’
অনগ্রসরদের সুবিধা দেওয়ার কথা সংবিধানে আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কি সংবিধানটা পড়ে দেখছে কখনো? আর মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারে কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? মুক্তিযোদ্ধারা জীবনে কষ্ট করেছে।’