নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের ‘অগ্রগিত প্রতিবেদন’ আদালতে দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চে এই অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আদালতে দাখিল করা অগ্রগতি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ১১৬টি ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পাওয়া গেছে। দেশ ছাড়ার আগে দুটি ব্যাংক থেকে ১২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা নগদ উত্তোলন করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৩ এপ্রিল কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশের করপোরেট শাখা থেকে বেনজীর আহমেদের ব্যাংক হিসাব থেকে দুটি চেকে ৩ কোটি ৩ লাখ ২ হাজার ৮১২ টাকা উত্তোলন করা হয়। একই দিনে ব্যাংকটি থেকে জীশান মীর্জার হিসাব থেকে একটি চেকে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ১৪ টাকা উত্তোলন করা হয়।
একইভাবে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল কমিউনিটি ব্যাংকের একই হিসাব থেকে জীশান মীর্জার চারটি চেকের মাধ্যমে আরও ১ কোটি ৮৮ লাখ ২৪ হাজার ২৫৬ টাকা উত্তোলন করা হয়। পরে ২৯ এপ্রিল বেনজীরের জ্যেষ্ঠ কন্যা ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীরের ব্যাংক হিসাব থেকে তোলা হয় ১৬ লাখ ৭ হাজার ৮৮৬ টাকা।
এ ছাড়া ২৪ এপ্রিল সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা থেকে বেনজীর আহমেদের প্রতিষ্ঠান সাউদার্ন বিজনেস ইনিশিয়েটিভের চলতি হিসাব থেকে ৩ কোটি টাকা, একই হিসাব থেকে ৩০ এপ্রিল ৩ কোটি টাকা, একই দিনে বেনজীরের শাভান্তা ফার্ম প্রোডাক্টস নামে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব থেকে ১৪ লাখ টাকাসহ ৩০ এপ্রিল তারিখ পর্যন্ত মোট ১২ কোটি ৬৬ লাখ ৭৮ হাজার ৯৬৮ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।