ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের দুটি গাড়ি জব্দ করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এসব গাড়ি থেকে ঘটনার ব্যাপারে নানা সূত্র পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা তাদের।
সেই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে সন্দেহভাজনের তালিকায় রয়েছেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম থেকে মধ্যম সারির কয়েকজন নেতা-কর্মী। তাঁরা ডিবির কড়া নজরদারিতে রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবির প্রধান) হারুন আর রশীদ।
হারুন আর রশীদ বলেন, ‘এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল মামলা হয়েছে ভারতে। বাংলাদেশে নিখোঁজের জিডি হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডটি ভারতে হলেও, এর সঙ্গে জড়িতরা সবাই বাংলাদেশি। এদের মধ্যে তিনজনকে বাংলাদেশে ও দুজনকে ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে—ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগ নেতারা জড়িত রয়েছেন। ইতিমধ্যে ঝিনাইদহ জেলার আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদককে গ্রেপ্তারের পরে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত রয়েছে, তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, ‘এমপি আনার হত্যার পরে ভিডিও ও ছবি তোলা হয়েছে। সেসব ভিডিও ও ছবি কারও কাছে পাঠিয়েছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ছবি বা ভিডিও কারও কাছে পাঠিয়ে আর্থিকভাবে কোনো লেনদেন করা হয়েছে কি না, সে বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে।’
মূল পরিকল্পনাকারী শাহীনের গাড়ি জব্দের বিষয়ে হারুন বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ভারতের দিল্লি হয়ে, নেপালের কাঠমান্ডু হয়ে, দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছে। তাকে আটক করতে না পারলেও, বাকি আসামিদের আমরা গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। সেই মাস্টারমাইন্ড শাহীনের ব্যবহৃত দুটি গাড়ি আমরা জব্দ করেছি। যার গাড়ি নম্বর ঢাকা মেট্রো চ-১২-০১৮০ ও ‘ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৯৮৬৯।’