বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিতে বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা তৃতীয় দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। দূরপাল্লার বাস সীমিত থাকায় যাত্রীরা রেলযোগাযোগকেই বেছে নিচ্ছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকার বাইরে থেকে আসা ট্রেনগুলোতে যাত্রী স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। সকালে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা ফিরতি ট্রেনগুলো সময়মতো স্টেশনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন একাধিক টিটি (টিকিট কালেক্টর)। সকাল ৬টায় রাজশাহী অভিমুখী ধূমকেতু এক্সপ্রেস যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। এরপর সকালে প্রতিটি ট্রেনই শিডিউল অনুযায়ী ছেড়ে যেতে দেখা যায়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চট্টগ্রামগামী যাত্রী আবির হাকিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশেষ কাজে কক্সবাজারে যেতে হচ্ছে। দিনের বেলায় বাস নেই একটিও। তাই চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে উঠেছি। চট্টগ্রামে গিয়ে সেখান থেকে বাসে কক্সবাজার যাব।’
নির্ধারিত সময় সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম অভিমুখী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস স্টেশন ছেড়ে যায়। এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ে অন্য রুটের ট্রেনগুলোও ছেড়েছে।
স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কমলাপুরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি রেলওয়ে থানার পুলিশ (জিআরপি) দায়িত্ব পালন করছে। স্টেশনের প্রবেশমুখ থেকে শুরু করে টিকিট কাউন্টার হয়ে ট্রেনে ওঠা পর্যন্ত তিন জায়গায় আরএনবি ও জিআরপি রয়েছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অবরোধে ট্রেনের সময়সূচির কোনো পরিবর্তন হয়নি। ট্রেন সময়মতো চলছে।’
এর আগেও বিএনপি ও জামায়াতের পৃথকভাবে ডাকা দুই দফা অবরোধে ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক।