বিমানবন্দরে যাতে কোনো যাত্রী হয়রানি না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে বলেছি। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’-এ বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এ কথা জানান।
বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিমানবন্দরে কোনো যাত্রী যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে নজর রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত সতর্কতার কারণে কেউ হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে নজর রাখতে বলেছি। সবাই যাতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে তা তদারকি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন যাত্রীদের যেন ভালো সার্ভিস দেওয়া হয়, সেদিকে সব সময় লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। ২০২৩-এর অক্টোবরে নবনির্মিত থার্ড টার্মিনাল থেকে উড়োজাহাজ চলাচল করতে পারবে।’
মাহবুব আলী বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতেও টিকে থাকার চেষ্টা করা হয়েছে। তখনো বিমানের আয় অব্যাহত ছিল। বিমান সব সময়ই লাভের মধ্যেই ছিল। বিশ্ববাজার অস্থিতিশীলতায় জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। এরই মধ্যে টরন্টো ফ্লাইটে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। বিমান সঠিকভাবে চলুক। কেউ অনিয়ম করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষের একটি ধারণা বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারি বেতন পায়। এ কারণে বিমানকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে না। বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সবগুলো অধিদপ্তরকেই নিজেদের আয়ে চলতে হয়। এখানে সরকার থেকে কোনো বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয় না।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কক্সবাজারকে আরও নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন করতে সেখানকার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সৈয়দপুরে নান্দনিক টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। যশোরের টার্মিনালকে আধুনিক করা হয়েছে। বরিশাল বিমানবন্দরের কাজও নেওয়া হবে। বিমানবন্দরের কাঙ্ক্ষিত সেবা হয়তো দেওয়া হচ্ছে না। তবে চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। কার্গো সেবা সম্প্রসারণে সিলেটে কার্গো ভিলেজ করা হয়েছে। চট্টগ্রামেও করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মাহবুব আলী বলেন, পর্যটন করপোরেশনকে কেন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নেওয়া সম্ভব হয়নি, সেই প্রশ্নটি বারবার আসে। সরকার চায় বিদেশি বিনিয়োগও আসুক। করোনায় পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ছিল। পরে সেটি খুলে দেওয়ার পর প্রথম মাসে এক কোটি টাকা লাভ হয়েছে। দ্বিতীয় মাসে দুই কোটি টাকা লাভ হয়েছে।
বিমানে নিয়োগে স্বজনপ্রীতির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে পাইলট নিয়োগে ওঠা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তদন্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়েছে। বিমানের পক্ষ থেকেও তদন্তও করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যে ৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।