নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চীনের সঙ্গে করা সাড়ে ৭ কোটি টিকা চুক্তির আরও ৫৫ লাখ ডোজ দেশে পৌঁছেছে। এই নিয়ে বিভিন্ন দেশের উপহার, কেনা ও কোভ্যাক্সের অনুদান মিলে এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ৭০ লাখ ৭২ হাজার ৪২০ ডোজ টিকা হাতে পেল বাংলাদেশ।
বুধবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ একটি বিমান টিকাগুলো নিয়ে অবতরণ করে।
দেশের ৮০ ভাগের বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা সরকারের। সে অনুযায়ী ২৭ কোটির বেশি টিকা প্রয়োজন। হাতে পাওয়া টিকার চার ভাগই সিনোফার্মের। এ ছাড়া অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না ও ফাইজারের টিকা পাওয়া গেছে। চলতি মাসে অন্তত ৩ কোটি টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এদিকে গতকাল ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি থাকায় দিনে টিকাদান কার্যক্রম ছিল বন্ধ। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে ৫ কোটি ৮৮ লাখ ১ হাজার ৫৫ ডোজ টিকা। ফলে নতুন করে আসা টিকাসহ মজুত আছে ১ কোটি ৮২ লাখ ৬৯ হাজার ৩৬২ ডোজ। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩ কোটি ৯১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৪৮ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১ কোটি ৯৬ লাখ ৩২ হাজার জন।
এ ছাড়া এদিন পর্যন্ত সারা দেশে টিকা পেতে নিবন্ধন করেছেন ৫ কোটি ৫০ লাখ ৩৬ হাজার ৬৭৬ জন নারী-পুরুষ।
এদিকে গতকাল রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যেভাবে সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশে ভ্যাকসিন চলে আসছে, এতে করে এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রার অন্তত ৫০ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।
এই সময়ে দেশে নানা উৎস থেকে দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ নিজে এই মুহূর্তে কোনো ভ্যাকসিন উৎপাদন না করলেও দেশে এখন পৃথিবীর উৎপাদিত প্রায় সব ধরনের ভ্যক্সিনই চলে এসেছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আন্তর্জাতিক মহলে সম্পর্কের কারণে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে দেশের সব মানুষই ভ্যাকসিন পাবে। এখন থেকে প্রতি মাসে দেশে অন্তত ৩ কোটি ডোজ টিকা আসবে।