স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে বাল্যবিবাহ এখনো থামেনি। এটি একেবারে নির্মূল করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশে বর্তমানে দারিদ্র্যতার হার ১৫ ভাগ। দেশের মানুষকে দরিদ্র রেখে সামনে এগিয়ে চলা কঠিন।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশে বর্তমানে সিজারিয়ানের কাজ বেশি হচ্ছে। আমাদের প্রাইভেট সেক্টরে সি সেকশন (সিজারিয়ান) বেশি। এখনো প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিকে গেলে ৭০ শতাংশ গর্ভবতী নারীদের সিজার করা হয়। এটাও আমাদের কমাতে হবে। আমাদের ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি কম। এটা আমরা বাড়ানোর চেষ্টা করছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি ক্লিনিক, ‘ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালগুলোর কারণে দেশে সি-সেকশন (সিজার) নিয়ন্ত্রণে আসছে না। দেশে এখন সি-সেকশনের হার ৭০ শতাংশ। এগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। গ্রামাঞ্চলে ধাত্রীদের মাধ্যমে অসংখ্য ডেলিভারি হয়। যে কারণে এখনো মাতৃ ও শিশুমৃত্যু শূন্যের কোঠায় আনা যাচ্ছে না। আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির সময়সীমা বাড়িয়েছি। আগে সরকারি হাসপাতালে আট ঘণ্টা ডেলিভারি ছিল, সেটাকে ২৪ ঘণ্টা করা হয়েছে। আশা করছি প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি আরও বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবার পরিকল্পনায় ভালো কাজ করছি। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠ কর্মীদের কারণে প্রধানমন্ত্রী “ভ্যাকসিন হিরো”অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। শিশু মৃত্যুর হার কমেছে, টিএফআর (টোটাল ফার্টিলিটি রেট) কমেছে। বর্তমানে আমাদের পপুলেশন গ্রোথ ১ দশমিক ২ শতাংশে আছে, যা পূর্বে ৩ শতাংশ ছিল।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করার ফলে দেশ আজ এ পর্যায়ে উন্নতি লাভ করেছে।’
এ বছর ‘জেন্ডার সমতাই শক্তি: নারী ও কন্যাশিশুর মুক্ত উচ্চারণে হোক পৃথিবীর অবারিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন’ প্রতিপাদ্যে দেশে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখায় বিশিষ্ট ৪ ব্যক্তি ও ৭টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।