দেড়শ কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, আনিসুল হক জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৭০ কোটি ৯৬ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনপূর্বক দখলে রাখেন। ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৪৯ কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার ৫৮২ টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া, ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৪৯ কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার ৫৮২ টাকা জমা ও ৩১৬ কোটি ৪৮ লাখ ৮১ হাজার ৬০৮ টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৬৬৫ কোটি ৬৪ লাখ ৩ হাজার ১৯০ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর আনিসুল হক ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমসহ সংশ্লিষ্টদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ১৩ আগস্ট ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ। এরপর তাকে কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
বিগত তিন সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে জয়ী হন আনিসুল হক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি নিজ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নামে ২০১৪ সালে ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অপরাধমূলক অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৯৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন।
আসামি মানিলন্ডারিং-এর সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে উহার রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটন করেছেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।