নাগরিকদের তথ্যভান্ডার সুরক্ষায় সার্ভার থেকে সরাসরি তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ রাখবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান বা সেবা সংস্থাগুলো ইসির নিজস্ব সিস্টেমে ঢুকে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে তথ্য যাচাই করতে পারবে, যেখানে কোনো তথ্যের সাপেক্ষে তাদের দেখানো হবে ‘ম্যাচ’ বা ‘নো ম্যাচ’।
আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের এই পরিকল্পনার কথা জানান।
এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে উনারা (সেবা সংস্থা) দুটো ইনপুট দিলে এ তথ্য উনাদের কাছে চলে যেত, ওনারা যাচাই করত। এখন আমরা চাচ্ছি উনারা তথ্যগুলো দিলে আমরা “ম্যাচ” অথবা “নো ম্যাচ” কিংবা “ইয়েস বা নো” বলে দিব। যাচাইয়ের কাজটা আমাদের দিক থেকে অনলাইনে হবে।’
এই প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ধরুন পাঁচটি ডেটা আমাদের কাছে চাচ্ছে, তখন এ তথ্যটা আমাদের সিস্টেমে পাঠাবে। সিস্টেম থেকে দেখা গেল চারটি সঠিক, একটি ভুল আছে। সিস্টেমই বলে দেবে চারটা ঠিক আছে, আরেকটা ভুল আছে।’
এনআইডি তথ্য ফাঁস রোধে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক বলেন, ‘এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা একটি টিম করে দিব। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও থাকবেন। উনারা যেকোনো সময়, যেকোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম চেক করতে পারবেন। এতে তাঁদের সিস্টেমের কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে।’