দরিদ্র দেশগুলোয় টিকা সরবরাহ নিশ্চিতে পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারত্বে প্রতিষ্ঠিত বৈশ্বিক জোট গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভের (গ্যাভি) মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫ লাখ মডার্নার টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে সেই টিকাবাহী বিমান ঢাকার পথে রওনা দিয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার টিকাগুলো দেশে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ সময় উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম। তিনি জানান, আগামীকাল মডার্নার টিকা ঢাকায় আসবে। তবে কয়টায় পৌঁছাবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সময় নিশ্চিত হয়ে পরে জানানো হবে।
এর আগে গতকাল বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ২৫ লাখ টিকা ঢাকার পথে। আগামী শুক্র অথবা শনিবার টিকাগুলো দেশে এসে পৌঁছাবে।
গত ২৯ জুন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি মডার্না ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এ নিয়ে দেশে আটটি ভ্যাকসিন অনুমোদন পেল।
যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত দ্বিতীয় এই টিকা গত ২২ জানুয়ারি জরুরি ব্যবহার্য টিকার তালিকায় স্থান দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ইউএস-এফডিএ এবং ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি ভ্যাকসিনটিকে অনুমোদন দেয়।
দুই ডোজের এই টিকা ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিরা নিতে পারবেন। প্রথম ডোজ গ্রহণের চার সপ্তাহ পর নেওয়া যাবে দ্বিতীয় ডোজ। টিকাটির সংরক্ষণ তাপমাত্রা মাইনাস ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ব্যবহারের আগে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক মাস এবং ৮ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১২ ঘণ্টা সংরক্ষণ করা যাবে।
এর আগে ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদন পাওয়া টিকা হলো অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় সেরাম উৎপাদিত কোভিশিল্ড, রাশিয়ার স্পুৎনিক–ভি, চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক, বেলজিয়ামের ফাইজার ও জনসন অ্যান্ড জনসন এবং সুইডেনের তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকা।