বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদগুলোয় বড় ধরনের রদবদল করতে যাচ্ছে সরকার। এই রদবদলের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কমপক্ষে ১০টি দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফিরতে বলা হয়েছে। যাঁদের দেশে ফিরতে বলা হয়েছে তাঁদের অধিকাংশই রাষ্ট্রদূত পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত আছেন।
চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে যাঁদের দেশে ফিরতে বলা হয়েছে তাঁরা হলেন—কানাডায় ড. খলিলুর রহমান, জার্মানিতে মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, পোল্যান্ডে সুলতানা লায়লা হোসেন, কুয়েতে মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামান, সুইজারল্যান্ডে সুফিউর রহমান, জাপানে শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও থাইল্যান্ডে মোহাম্মদ আবদুল হাই।
যাঁদের দেশে ফিরতে বলা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কেবল দুজনের নিয়মিত চাকরি শেষে অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তাঁরা হলেন—গ্রিসে আসুদ আহমেদ ও ইতালিতে মো. মনিরুল ইসলাম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগ এরই মধ্যে তাঁদের দেশে ফেরার নির্দেশ জারি করেছে।
এমন নির্দেশ পেয়েছেন, এমন একজন রাষ্ট্রদূত বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্লভ ব্যতিক্রম বাদে কোনো রাষ্ট্রদূতের বিদায়ের প্রক্রিয়া যে দেশে তিনি নিযুক্ত আছেন, সেখানকার সরকারকে জানিয়ে সম্পন্ন করতে হয়। দেশটির রাষ্ট্র অথবা সরকার প্রধানের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎসহ কিছু আনুষ্ঠানিকতাও রাষ্ট্রদূতকে সেরে আসতে হয়। এসব কারণে দেশভেদে রাষ্ট্রদূতের কর্মস্থল ছাড়তে দুই থেকে তিন মাস সময় লেগে যায়।