চলতি বছরে কয়েক ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন চলছে। আগামীকাল রবিবার তৃতীয় ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী সহিংসতায় এরই মধ্যে ৫০-এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, যাঁদের বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক। তবে সহিংসতার বড় অংশ ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব এবং জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হওয়ার কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় পার্টির সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার প্রশ্নের জবাবে সংসদ কার্যে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
লিয়াকত হোসেনের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর কয়েকটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতার খবর প্রচারিত হয়েছে। অনেক সময় ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব, জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নির্বাচনের সময় বিভিন্ন সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ধর্মীয় সংখ্যালঘু, নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতা চালানোর অপচেষ্টা চালায়। এই কারণেও নির্বাচনের সময় অনেক ধরনের সহিংসতার উদ্ভব হয়।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সজাগ ও সতর্ক সৃষ্টি রেখেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নির্বাচন কমিশন চিঠি দিয়ে নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ে সজাগ ও সতর্ক থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ এ পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা কমিশনকে অবহিত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।