হোম > জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজারের বেশি স্কুল-কলেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘূর্ণিঝড় রিমালে দেশের ৪৭ জেলার এক হাজারের বেশি স্কুল-কলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আপাতত পাঠদান পরিচালনা করা সম্ভব নয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পটুয়াখালী জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এই জেলার ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৮৭। 

ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা দেখভালের দায়িত্বে থাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন শাখা। 

এ বিষয়ে মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইংয়ে দায়িত্বে থাকা পরিচালক অধ্যাপক মো. আমির হোসেন বলেন, ‘আমরা মাঠপর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এখন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’ 

গত ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানে। এর প্রভাবে উপকূলীয় বেশ কিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়, যার ফলে পানিতে নিমজ্জিত হয় এসব এলাকা। এ ছাড়া ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। বেশ কিছু রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ, ঘরবাড়ি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালে ১ হাজার ৮টি স্কুল-কলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান পরিচালনা করা সম্ভব না। আর ৬১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আংশিক পাঠদান পরিচালনা করা সম্ভব। এ ছাড়া ৪৪৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে; আর ৩৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান করা সম্ভব। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ৩ হাজার ৫৩২টি শ্রেণিকক্ষ, ২২০টি বিজ্ঞানাগার, ৫৫৬টি কম্পিউটার/ল্যাপটপ, পাঠাগারে থাকা ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮৩৩টি বই ও ২২৭টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রিমালে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি ও বাগেরহাট জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ পাঁচ জেলার মোট ৬৭১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে পটুয়াখালী জেলার ১৮৭টি, পিরোজপুর জেলার ১৪১, বরগুনা জেলার ১৩৮, ঝালকাঠি জেলার ১০৪, বাগেরহাট জেলার ১০১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

পটুয়াখালী জেলার ১৮৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬২৮টি শ্রেণিকক্ষ, ২৩টি বিজ্ঞানাগার, ৪৭টি কম্পিউটার/ল্যাপটপ, পাঠাগারে থাকা ২০ হাজার ১৭৬টি বই ও ৪৬টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া পিরোজপুর জেলায় ১৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৭৮টি শ্রেণিকক্ষ, ২৪টি বিজ্ঞানাগার, ১০১টি কম্পিউটার/ল্যাপটপ, পাঠাগারে থাকা ১৭ হাজার ৯১টি বই, ৪৬টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম; বরগুনা জেলার ১৩৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৯০টি শ্রেণিকক্ষ, ১১টি বিজ্ঞানাগার, ১৪টি কম্পিউটার/ল্যাপটপ, পাঠাগারে থাকা ৯ হাজার ৪৩৯টি বই, ৫টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম; ঝালকাঠি জেলার ১০৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৬৪টি শ্রেণিকক্ষ, ৬৩টি বিজ্ঞানাগার, ১০৯টি কম্পিউটার/ল্যাপটপ, পাঠাগারে থাকা ৪ হাজার ৯১৫টি বই, ৬৫ মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম এবং বাগেরহাট জেলায় ১০১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৩৭টি শ্রেণিকক্ষ, ২১টি বিজ্ঞানাগার, ৫৬টি কম্পিউটার/ল্যাপটপ, পাঠাগারে থাকা ১৬ হাজার ৩৭০টি বই, ২১ মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ জেলার ১১টি, খুলনা জেলার ২৮, দিনাজপুর জেলার ১৫, নোয়াখালী জেলার ১৫, বরিশাল জেলার ৮২, ভোলা জেলার ২৩, যশোর জেলার ১৫ ও সাতক্ষীরা ৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর বাইরে অন্যান্য জেলার ১ থেকে ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

নবীন উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা শুনলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের পাকিস্তান সফর, প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠক

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সরানো হলো পরিচালক মনিরুজ্জামানকে

গত বছর ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ৬১ শতাংশই নারী: জরিপ

পাঁচ মাসে মাজার-দরগায় ৪৪ হামলা: প্রেস উইং

বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার

লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৪৭ বাংলাদেশি

বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না হুমায়ুনের

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে মতামত দিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ৬ দিন সময়

সস্তায় বিক্রি হচ্ছে শৈশব

সেকশন