আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, ‘সরকার বা আদালত যদি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করে তাহলে দলটির নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই।’
আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন। পরে সম্মেলনকক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। বায়াত্তর সাল থেকে আওয়ামী লীগ রেজিস্টার্ড দল। আমরা তো বাদ দিতে পারব না। এটার বিধিবিধান যেটা আছে। সরকার যদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাহলে কোনো রেজিস্ট্রেশন দেওয়া যায় না। আবার কোর্টের বিষয় আছে। সুতরাং, এটা রাজনৈতিক অথবা আদালতের সিদ্ধান্ত। সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিব।’
সিইসি বলেন, ‘আগে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কমিশন নানা চাপে ছিল। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। কমিশনের ওপর কোনো চাপ নেই। গত নির্বাচনের মতো বহিঃশক্তি নির্বাচন কমিশনে চাপ প্রয়োগ করতে পারবে না।’
সিইসি বলেন, ‘আগামী ছয় মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। এবার আর আগের মতো ভোট হবে না। পাঁচ আগস্টের পরে ভোটের ব্যাপারে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে। ‘৯১, ‘৯৬–এর মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ জানুয়ারী খসড়া ভোটার তালিকা ও মার্চে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।’
বিদ্যমান ভোটার তালিকায় ভুয়া ভোটার রয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘আমরা কাজ করতে গিয়ে দেখেছি ভুয়া ভোটার আছে। তা ছাড়া অনেকে মারা গেছেন। কিন্তু যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের তালিকা চূড়ান্ত হয়নি। কেউ মারা গেলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাতিল করতে তাঁদের স্বজন আসেন না! এই সুযোগ নেওয়া হয়েছিল বিগত নির্বাচনগুলোতে।’
পুরুষ ভোটার থেকে নারী ভোটার কম জানিয়ে সিইসি গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, ‘নারী ভোটার বাড়াতে আপনাদের প্রচার প্রয়োজন। নারীদের উদ্বুদ্ধ করুন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুছ আলী, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমেদ প্রমুখ।