নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মানি লন্ডারিং মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর আলম সিকদার ও তাঁর স্ত্রী সাদিয়া চৌধুরীর জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া জানান, শুনানি শেষে হাইকোর্ট জামিন দিতে অপারগতা পোষণ করে জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।
এদিকে সিআইডির আবেদনে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান আসামি মঞ্জুর আলম শিকদারসহ চারজনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রাজধানীর বনানী থানায় ওই মামলা দায়ের করা হয়।
২০২০ সালের ২৬ জুলাই আলেশা মার্ট যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। পরে প্রতিষ্ঠানটি একই বছরের ১০ নভেম্বর ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আলেশা মার্টের যাত্রা শুরু ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি। যাত্রা শুরুর পর কম মূল্যে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য সরবরাহের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে বহু গ্রাহককে পণ্য না দিয়ে কিংবা টাকা ফেরত না দিয়ে ই-কমার্স ব্যবসার আড়ালে প্রতারণার মাধ্যমে তারা টাকা পাচার করেছে বলে জানায় সিআইডি।
সিআইডি জানায়, চারটি বেসরকারি ব্যাংকে আলেশা মার্টের চারটি ব্যাংক হিসাব থেকে ৪২১ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৩১ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ কেনা হয়েছে। ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৫ আগস্টের মধ্যে এই সম্পদ কেনা হয়।