মহামারির মধ্যে রাজনৈতিক সমাবেশ ও বিনোদকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষ মাস্ক না পরেই ভিড় করছে, রাজনৈতিক সমাবেশেও মাস্ক পরছেন না। এতে করোনার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৯০টি দেশে ওমিক্রন ছড়িয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ মাস্ক পরছে না এবং স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। এ জন্য ওমিক্রন বাড়ার আশঙ্কা করছে সরকার। সারা দেশের মানুষ যাতে আগের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে—এ জন্য জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনদের চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এবারের বিজয় দিবসের ছুটির সঙ্গে দুই দিন সরকারি ছুটি পড়ায় বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। করোনার কারণে এখন বিধিনিষেধ মেনে চলার বিষয়টিও কম। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ঢাকায় শোভাযাত্রা করেছে। এসব দলীয় কর্মসূচিতে হাজার হাজার মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই অংশ নিয়েছেন।
এদিকে সবাইকে করোনার বুস্টার ডোজ দিতে সুরক্ষা অ্যাপ হালনাগাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন সীমিত আকারে বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। ৬০ বছরের ওপরে যাদের বয়স এবং ফ্রন্টলাইনাররা এখন থেকেই তাদের দুই ডোজের টিকার কার্ড নিয়ে গেলে বুস্টার ডোজ দিতে পারবেন। এ মাসের শেষের দিকে অ্যাপসের মাধ্যমে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করা হবে, আইসিটি বিভাগ এ বিষয়ে কাজ করছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ কোভিড নিয়ন্ত্রণে সফলতার উদাহরণ হয়েছে। এখন যে সংক্রমণ কমে গেছে, এটা ধরে রাখতে হবে। সব হাসপাতালে এখন অক্সিজেন সাপোর্ট আছে। ১২ থেকে ১৩ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট রয়েছে সরকারের। এখন পর্যন্ত ৩৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সাত কোটি মানুষ প্রথম ডোজ এবং সাড়ে চার কোটি মানুষ করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে। করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৬০ শতাংশ মানুষকে আর ৩৫ শতাংশ মানুষকে দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ডোজ।