পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, সেটাতে আমরা সন্তুষ্ট।’ তিনি আরও বলেছেন, তারপরও, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই যে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লেগেছিল সন্দেহাতীতভাবে তা প্রমাণ করতেই আলামত বিদেশে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আলামত বিদেশে পাঠানো হয়েছে, যাতে সব রকমের সন্দেহের ঊর্ধ্বে আমরা উঠতে পারি এবং উনারা (তদন্ত কমিটির বিশেষজ্ঞরা) বলেছেন, যদি সত্যিই এটি নাশকতা হতো এবং ঘটনাটা কীভাবে ঘটতে পারত সেটিও দেখিয়েছেন। কোন জায়গা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়েছিল সেটি একেবারেই স্পষ্ট করে স্লোমোশনে দেখিয়েছেন এবং এগুলো আপনাদের কাছেও আছে।’
সন্দেহাতীত জবাব পাওয়ার জন্যই আগুনের আলামত বিদেশে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি জিনিস খেয়াল করতে হবে। কতগুলো ঘটনার পরে কতগুলো দৃষ্টিবোধ, কতগুলো সিদ্ধান্ত, মতামত নিয়ে ফেলি। তারপরে ভিন্ন কোনো কথা শুনলে ওটা আর আমরা মানতে চাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ যারা ছিলেন, তারা আমাদের ক্লোজআপে দেখিয়েছেন—কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং সচিবালয়ের বিভিন্ন ভবনের নির্মাণের কারণে কীভাবে একটি অবস্থান থেকে আরেকটি অবস্থানে এটি ছড়িয়ে পড়ে। তারা এটিও আমাদের দেখিয়েছেন, যে কুকুরটির কথা বলা হচ্ছে সেটি আগেও ওই ফ্লোরে গিয়েছিল। সে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে একটি চেয়ারের ওপর গিয়ে কুশনের ওপর ঘুমায়। এখানে রেস্টুরেন্ট থাকার কারণে অনেক কুকুর আসে, যাদের বেঁচে যাওয়া খাবার দেওয়া হয়।’
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে সেটাতে আমরা সন্তুষ্ট। প্রথম কথা হচ্ছে—অগ্নিকাণ্ড ঘটা আসলেই খুবই ভীতিকর, আমাদের অনেক বড় দুশ্চিন্তার কারণ। এখানে কিন্তু আমরাই অফিস করি, তাই কোনো কিছু হলে প্রথম আঁচটা আমাদের গায়ের ওপরই পড়বে। যারা ওখানে অফিস করে তাদের জন্য এটা একটা সাংঘাতিক ট্রমাটাইজিং ব্যাপার। আমরা আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে শতভাগ নিশ্চিত হতে চাইব।’
এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা কোনো বায়াসড হয়ে এই (তদন্ত) কমিটি করিনি। আমরা বুয়েটকে বলেছি, আপনারা তিনজন বিশেষজ্ঞ দিন। বুয়েট নিরপেক্ষভাবে দিয়েছে। এরপর আরও ৮ জন বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই ভরসা না করার কোনো কারণ আছে বলে আমরা মনে করি না।’