নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বেআইনিভাবে পরিচালিত বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে চালানো অভিযানে প্রায় সাড়ে চার হাজার প্রতিষ্ঠান নতুন করে নবায়ন ও নিবন্ধন পেয়েছে। যেখানে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২৫ কোটি টাকার বেশি।
আজ রোববার বিকেলে অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান ও মনিটরিং কার্যক্রম নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
স্বাস্থ্যের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, গত ২৬ মে অবৈধ হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাডব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সরকার। এই সময়ে ১ হাজার ৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে নিবন্ধন করেছে এক হাজার ৪৮৯টি। এছাড়া নবায়ন করেছে ২ হাজার ৯৩০টি। এতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৭ টাকা।
তবে তিন মাস সময় দেওয়ার পর এখনো নিবন্ধনের বাইরে এখনো চার হাজারের মত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। অনিবন্ধিত এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আগামীকাল সোমবার থেকে টানা এক সপ্তাহ ফের অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আহমেদুল কবীর বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে এখনো ১ হাজার ৯৪৬টি নিবন্ধনের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান শর্তপূরণ না করা পর্যন্ত নিবন্ধন পাবে না। এ ছাড়া নতুন করে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে আরও দুই হাজার। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তিন মাস পর আবারও মাঠে নামা হচ্ছে।
কবীর জানান, আমরা তিন মাস সময় দিয়েছি। এই সুযোগ যারা নেয়নি এবং এর মধ্যে যারা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি কিংবা যারা আবেদন করেও যারা নিবন্ধন পায়নি তারা হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিক খোলা রাখতে পারবে না। যারা নিবন্ধন পায়নি তাদের কার্যক্রম এখনো ত্রুটিপূর্ণ।
আহমেদুল কবীর আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে আলাদা করতে পারব। এরপরের অভিযান হবে যারা নিবন্ধিত হয়েছে তাদের কার্যক্রমের মান কেমন তা দেখব। এরপর নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে এ, বি ও সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে তা আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। যাতে মানুষ জানতে পারে কোন হাসপাতাল কোন মানের। এরপর থেকে বেআইনিভাবে পরিচালিত হাসপাতালে কেউ চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণার শিকার হলে সে দায় অধিদপ্তর নেবে না।