ঢাকা: দেশে শুরু হয়েছে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকাদান কর্মসূচি। সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর তিনটি কেন্দ্রে এ টিকা দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন হলে কোভিড টিকার প্রথম ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। একই সময়ে মহাখালীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হয়।
প্রতিকেন্দ্রে ১২০ জন করে মোট ৩৬০ জনকে দেওয়া হবে এই টিকা।
টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, টিকা দিলেই করোনামুক্ত ভাবার কোনো সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যারা আজ টিকা নিচ্ছেন তাঁরা এক সপ্তাহ পর্যালোচনায় থাকবেন।
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রবাসী যারা টিকার জন্য নিবন্ধন করেও টিকা পাননি, তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন। যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাঁরা দূতাবাসে যোগাযোগ করবেন। সেখান থেকে সুপারিশের মাধ্যমে তারা (প্রবাসীরা) টিকা পাবেন।
এদিকে বিএসএমএমইউতে টিকাদান চিত্র দেখতে এসে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাকেন্দ্রের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ফাইজারের টিকার একটি ভোল্টে ছয়জনকে দেওয়ার মতো টিকা থাকে। এটির তাপমাত্রা মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টিকা যাতে কোনেভাবে নষ্ট না হয়, সেদিকটি ভালোভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
এদিকে বিএসএমএমইউ টিকাদান কেন্দ্রে অনেকে আগে এসেও টিকা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রথমদিকে একটু সমস্যা হয়েছে। তবে এখন ঠিক আছে। নিবন্ধন অনুযায়ী যারা আগে আসছেন, তারাই পাচ্ছেন।
প্রয়োজনীয় তাপমাত্রার সংরক্ষণাগার না থাকা ও পরিবহন জটিলতার কথা বিবেচনা করে শুধুমাত্র রাজধানীতেই ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। ফাইজারের এই টিকা দুই ডোজের। প্রথম ডোজ নেওয়ার ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। প্রতি ডোজের পরিমাণ শূন্য দশমিক ৩ এমএল।
এর আগে চতুর্থ ভ্যাকসিন হিসেবে দেশে গত ২৭ মে ফাইজারের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
এর তিন দিন পর ৩০ মে রাতে এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা নিয়ে এমিরটেস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ঢাকায় পৌঁছে। পরে টিকাগুলো ইপিআইয়ের তত্ত্বাবধানে মহাখালীর হিমাগারে নেওয়া হয়।