হোম > জাতীয়

বাংলাদেশ নিয়ে খেলা আর হতে দেওয়া যায় না: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মানুষ মেরে লাশ ঝুলিয়ে রাখার মতো বর্বরতা, জানোয়ারের মতো ব্যবহার—এটা কেউ করতে পারে কি না, এ বিষয়ে জাতির কাছে প্রশ্ন রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানের লাশ ঝুলিয়ে রাখবে পা বেঁধে! যারা এসবের সঙ্গে জড়িত, অবশ্যই তাদের বিচার হবে। না হলে মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া যাবে না। 

আজ রোববার কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত ৩৪ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে  সঞ্চয়পত্র এবং নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, `মানুষ কী দোষ করল যে এভাবে খুন করতে হবে। মানুষ খুন করে সরকার পতন—এটা কবে হয়, কখন হয়? সাধারণ মানুষ কী দোষ করেছে? আমি আসলে আপনাদের কী বলে সান্ত্বনা দেব? শুধু এইটুকু বলব, আমি আপনাদের মতোই একজন। বাবা-মা হারানো এতিম। কাজেই আপনাদের কষ্ট আমি বুঝি। আমি আছি আপনাদের জন্য, আপনাদের পাশে।’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার চেষ্টা থাকবে যারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত, খুঁজে খুঁজে বের করে তারা অবশ্যই যেন শাস্তি পায়। সেটাই আমার প্রচেষ্টা থাকবে, আমি সেটাই করব। আপনাদেরও সাহায্য চাই। কারণ, এভাবে বারবার বাংলাদেশটাকে নিয়ে খেলা আর হতে দেওয়া যায় না। কাজেই আমি আপনাদের সাহায্য চাই।’ 

তিনি বলেন, ‘এইটুকু মনে রাখবেন, আপনারা আপনজন হারানোর একটা শোক সইতে পারেন না, আর আমি কী শোক সয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কেন, এই দেশের মানুষের জন্য। কিন্তু আজকে এইভাবে বাধা দেওয়া, যা কিছু করি, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে শেষ করে দেওয়া—এটা তো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সাধারণ মানুষই সুবিধা পেত। মেট্রোরেলে কারা চড়ে, এক্সপ্রেসওয়েতে কারা চলে? মানুষের কাজ করাটাই আমার কাজ।’ 

নিহতদের স্বজনদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের কাছে শুধু এইটুকু বলব, আপনারা সবুর করেন আর আল্লাহকে ডাকেন, যেন এই সমস্ত খুনি-জালেমের হাত থেকে আমাদের দেশটা রেহাই পায়। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি, পাশে আছি। আজকে যদি ভালো সময় হতো, কত হাসিখুশি করে সবাই যেতে পারতেন। এখন আপনাদের চোখের পানি দেখতে হচ্ছে। এটিই সবচেয়ে কষ্টের। স্বজন হারানোর ব্যথা ভোলার নয়, সেটা আমি জানি। তবু আল্লাহ আপনাদের সবুর দিক, সেটা আমি চাই।’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তো বুঝি আপনাদের বেদনা। প্রতিনিয়ত বাপ-মা-ভাই-বোনদের হারানোর ব্যথা নিয়ে আমাদের চলতে হয়। এমনকি লাশটাও দেখতে পারিনি, কাফন-দাফনটাও করতে পারিনি। দেশেও ফিরতে পারিনি, ছয় বছর দেশে ফিরতে দেয়নি আমাকে। যখন দেশে এসেছি, সারা দেশ ঘুরেছি। এই দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছি। সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটাবে, এই সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটাবে—এটা তো কাম্য না।’ 

এ সময় গণভবনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে জিয়াউলের আবেদন খারিজ

চীনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহী বাংলাদেশ: লুৎফে সিদ্দিকী

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হতে পারে মার্চ-এপ্রিলে: প্রবাসী কল্যাণ সচিব

জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন থেকে সীমা জামানের পদত্যাগ

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে পদত্যাগ করে যা বললেন সারজিস

নেতৃত্বশূন্য সংগঠন, প্রশাসকে অস্বস্তি

৫ আগস্টে সংসদে লুটপাট: শুধু বৈদ্যুতিক সরঞ্জামে খরচ ৭৩ কোটি টাকা

রুশ কোম্পানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, আসছে না পুলিশের হেলিকপ্টার

প্রাথমিক শিক্ষকেরই প্রাপ্য সর্বোচ্চ সম্মান

এক স্থানের জনপ্রতিনিধি কীভাবে গোটা জাতির আইন প্রণয়ন করেন: সলিমুল্লাহ খান

সেকশন