জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দক্ষ প্রশাসক ও রাষ্ট্র চিন্তাবিদ হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অসামান্য ছিল। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলার সাধারণ মানুষের মধ্য থেকে উঠে আসা অবিসংবাদিত ক্ষণজন্মা নেতা। সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষণ তিনি মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের আবাসিক কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বাংলার জনসাধারণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল গভীর আস্থা ও ভালোবাসা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, পূর্ব বাংলার মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য রোধের জন্য বঙ্গবন্ধু সব সময় সোচ্চার ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গমাতা নেপথ্যে থেকে সব সময় সহায়তা প্রদান করতেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন মর্মস্পর্শী, অমানবিক ও বেদনাদায়ক ঘটনার নজির নেই। তিনি এ সময় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর ঘাতকেরা হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি আইন পাস করেছে এবং এর মাধ্যম পবিত্র সংসদকে কলুষিত করেছে। হত্যাকারীরা চিহ্নিত শত্রু, তাদের সবার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
জাতীয় সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসিফ হাসানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় হুইপ ইকবালুর রহিম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মিঞা, জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার।