নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আসন্ন রমজানে কোনো নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার। রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। একই সঙ্গে নতুন করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবও নাকচ করা হয় ওই সভায়। নির্দেশ আসে, ৩১ মের পর থেকে সয়াবিন এবং ৩১ ডিসেম্বরের পর পামওয়েল তেল খোলা বাজারে বিক্রি করা যাবে না।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত বৈঠকে জানানো হয়, দেশে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্য তেলের চাহিদা রয়েছে। রোজার মাসে আড়াই থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন চাহিদা থাকে। এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ মেট্রিক টন তেল আমদানি করা হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়েছে ২.৩ মেট্রিক টন। অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের আমদানি প্রায় ৫ লাখ মেট্রিক টন। তাই নতুন করে তেল আমদানির প্রয়োজন নেই।
গত রোববার ২৭ ফেব্রুয়ারি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। আজকের বৈঠকে সে প্রস্তাবকে নাকচ করে দেয় মন্ত্রণালয়।
বর্তমান দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৫৭ টাকা, এক লিটারের বোতল ১৮০ টাকা, ৫ লিটারের বোতল ৮৭০ টাকা ও এক লিটার পাম তেল ১৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে লিখিত প্রস্তাবে বলা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি লিটারপ্রতি ৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এর আগে ১৯ অক্টোবর লিটারপ্রতি ৭ টাকা দাম বাড়ানো হয়। অর্থাৎ অক্টোবর থেকে তিন দফায় লিটারপ্রতি দাম বেড়েছে ২৭ টাকা।
আজকের সভায় জানানো হয়, দেশে প্রায় ১৮ লক্ষ মেট্রিক টন পরিশোধিত চিনির চাহিদা রয়েছে। পবিত্র রমজানের চাহিদা ৩ লক্ষ মেট্রিক টন, আখ থেকে চিনির স্থানীয় উৎপাদন ৩০-৪০ হাজার মেট্রিক টন এবং আমদানি করা হয়েছে প্রায় ১৯ লাখ মেট্রিক টন। পেঁয়াজের বিষয়ে বৈঠকে বলা হয়, বছরে দেশে প্রায় ২৫ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজের চাহিদা থাকলেও রোজায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন ভোক্তারা ব্যবহার করেন।
সরকার স্থানীয় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন, আমদানি করা হয়েছে প্রায় ৭ লক্ষ মেট্রিক টন।