ঢাকা: সরকারি চাকরিতে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫টি পদ খালি রয়েছে, যা মোট পদের ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। আজ মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রকাশিত বেসামরিক প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এই তথ্য জানা গেছে।
সেখানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬৮টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে ১৫ লাখ ৪ হাজার ৯১৩ জন কর্মরত, সে হিসাবে খালি আছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫টি পদ।
২০১৬ সালে সরকারি চাকরিতে মোট পদের ২১ দশমিক ১১ শতাংশ পদ খালি ছিল। ২০১৭ সালে এসে তা বেড়ে ২২ দশমিক ০৩ শতাংশে দাঁড়ায়। আর ২০১৮ সালে সরকারি চাকরির ২১ দশমিক ২৭ শতাংশ খালি ছিল। ২০১৯ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি।
সরকারি চাকরিতে ফাঁকা পদ:
সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খালি পদগুলোর মধ্যে ৪৬ হাজার ৬০৩টি প্রথম শ্রেণির, ৩৯ হাজার ২৮টি দ্বিতীয় শ্রেণির, ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯০২টি তৃতীয় শ্রেণির এবং চতুর্থ শ্রেণির খালি পদ ৯৯ হাজার ৪২২ টি। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদগুলোতে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) নিয়োগ দেয়। আর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয়।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৫ হাজার ৬৮ টি, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৬ টি, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৪ হাজার ৮৫১টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭০০টি পদ খালি রয়েছে।
এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির ২ লাখ ৩০ হাজার ৮৩২টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ১ লাখ ৮৪ হাজার ২২৯ জন। দ্বিতীয় শ্রেণির ২ লাখ নয় হাজার ৭৯৪টি পদের বিপরীতে ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৬৬ জন, তৃতীয় শ্রেণির ১০ লাখ ৯১ হাজার ২১৯টি পদের বিপরীতে ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৭ জন এবং চতুর্থ শ্রেণির ৩ লাখ ৫৪ হাজার ২৩টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬০১ জন কর্মরত।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন সচিব কে এম আলী আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর মধ্যে আমরা সবগুলো মন্ত্রণালয়কে খালি পদগুলো দ্রুত পূরণের নির্দেশনা দিয়েছি। শিগগিরই সবাইকে নিয়ে একটি সভা করে এসব ফাঁকা পদ পূরণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ঢিলেমির কারণেই দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাকরির প্রায় চার লাখ পদ ফাঁকা থাকছে। ফাঁকা পদগুলো পূরণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও অনেক মন্ত্রণালয় তা পূরণে সময়মতো পদক্ষেপ নেয় না।