নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। তার সঙ্গী হিসেবে থাকছেন— সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।
এই নতুন ইসি নিয়ে বিশিষ্টজনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন তাঁরা পরিচিত কেউ নন। তাই তাঁদের বিষয়ে মন্তব্য করতে চান না অনেকে।
ইসি গঠনের আগে সুপারিশকৃত নামগুলো প্রকাশ হোক এমনটা চেয়েছিলেন অন্য অনেকের মতো আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিকও। তাঁর মতে, ইসি গঠন প্রক্রিয়া হয়েছে গোপনে।
নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শাহদীন মালিক বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম যেন শক্ত প্রক্রিয়ায় হয়। আমরা হঠাৎ পাঁচজনের নাম জানলাম। চেয়েছিলাম চূড়ান্ত করার আগে তাঁদের নাম অনুসন্ধান কমিটি যোগ্যতা দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার নিরিখে মূল্যায়ন করে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করুক। কিন্তু সবই তো হয়ে গেল গোপনভাবে। আমরা জানি না এই পাঁচজনের নাম কোন দল প্রস্তাব করেছে। অর্থাৎ কোন দলের প্রিয়পাত্র। এই গোপন প্রক্রিয়ায় হতাশ হয়েছি।’
এর আগে নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রস্তাবিত ৩১৬ জনের নাম সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হলে নিজের নাম প্রত্যাহার চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেন ড. শাহদীন মালিক।
নতুন নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, ‘নতুন গঠন হওয়া ইসির দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি আসলে তাঁদের চিনি না। তাঁদের নিয়ে মন্তব্য করব কীভাবে? তাঁদের জীবনবৃত্তান্ত জানতে পারলে হয়তো বলা যেত। আমাদের একটা দাবি ছিল, যাঁদের নাম জমা দেওয়া হবে যেন তা প্রকাশ করে। সেটা তো করল না।’