Ajker Patrika
হোম > জাতীয়

কোটা আন্দোলনে হতাহত ও সহিংসতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোটা আন্দোলনে হতাহত ও সহিংসতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ১৬ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে ছয়জন নিহত হওয়া এবং সম্প্রতি সংঘটিত সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানকে দিয়ে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়। 

কমিশনকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আর ওই কমিশনকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার ইউনিটকে সাচিবিক সহায়তা করতে বলা হয়। 

এদিকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। 

সন্ধ্যা ৬টার দিকে শুনানির দিন ধার্যের জন্য চেম্বার আদালতে আবেদন নিয়ে যান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। বিচারপতির বাসভবনে বসেন চেম্বার আদালত। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, চেম্বার আদালত লিভ টু আপিল আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন নির্ধারণ করেছেন। 

আজ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে রোববারের কার্যতালিকায় রাষ্ট্রপক্ষ ও দুই শিক্ষার্থীর করা দুটি লিভ টু আপিল শুনানির জন্য ৩ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। যদিও আজ দুপুরে অ্যাটর্নি জেনারেল ও দুই শিক্ষার্থীর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, আগামী রোববার শুনানি এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করা হবে। তবে এদিন বিকেলেই আবেদন করা হয়।

এ ছাড়া দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে থাকা আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল এবং শুনানি এগিয়ে আনতে বৃহস্পতিবার আবেদন করেছি। চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ঠিক করে দিয়েছেন।’ ওই দিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে কোটার বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি। 

এর আগে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ২৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি ১৪ জুলাই প্রকাশিত হয়। যাতে বলা হয়, প্রয়োজনে কোটার অনুপাত পরিবর্তন, হ্রাস বা বৃদ্ধি করতে এই রায় সরকারের ওপর কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। আর কোনো পাবলিক পরীক্ষায় কোটা পূরণ না হলে সরকার সাধারণ মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদ পূরণ করতে পারবে। 

সরকারি চাকরিতে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ ছাড়া রায় স্থগিত চেয়ে পৃথক আবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া এবং উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান। 

১০ জুলাই দুটি আবেদন একসঙ্গে শুনানি করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আদেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটার বিষয়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করা হয়। একই সঙ্গে এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে শুনানি এগিয়ে আনা হয়।

ফেরত পাঠাতে ৫০০ জনকে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র

গ্রামীণ ব্যাংকে কমছে সরকারের কর্তৃত্ব

স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন বদরুদ্দীন উমর

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদক পেলেন সেনাপ্রধান

ভ্রমণ কর জালিয়াতি, বেনাপোল বন্দরে আটক ৬ ভারতীয়

নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন হচ্ছে: শ্রম উপদেষ্টা

এবার স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন যারা

এনআইডির তথ্য ফাঁসের মামলায় সাবেক সচিব জিয়াউল ২ দিনের রিমান্ডে

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক শুরু

আবরার ফাহাদকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হলো কেন