হোম > জাতীয়

অতিদারিদ্র্য শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনাই সরকারের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এই মেয়াদের মধ্যে দেশে অতিদারিদ্র্যের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনাই সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তাঁর সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকবে এই মেয়াদের মধ্যে দেশে অতিদারিদ্র্যের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা। 

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ১২টি দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতগণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি এ কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। 

সাক্ষাতের শুরুতে বতসোয়ানা, কম্বোডিয়া, গাম্বিয়া, হাঙ্গেরি, জ্যামাইকা, মেসিডোনিয়া, মঙ্গোলিয়া, লুক্সেমবার্গ, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র, স্লোভেনিয়া, পেরু ও ভেনেজুয়েলার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থ মেয়াদ এবং পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান। 

আওয়ামী লীগ সরকার একেবারে তৃণমূল থেকে উন্নয়ন নিশ্চিত করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সারা দেশ উন্নত হবে এবং জনগণ এর সুফল পাবে। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে দারিদ্র্যের হার কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অতি দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। আগে দেশে দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশের বেশি ছিল। 

দুস্থ নারী, বিশেষ করে স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা নারীসহ সমাজে অসহায় মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় সহায়তাসহ দারিদ্র্যবিমোচনে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা সংসদ নির্বাচন ও অন্যান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি সরাসরি অংশগ্রহণ করছে। 

সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

কমিউনিটি ক্লিনিকের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রান্তিক জনগণ স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছে, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছে। কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পূর্ণ তার সরকারের ব্রেইন চাইল্ড এবং এই প্রচেষ্টার ফলে দেশে মা ও শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। 

সারা দেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান করেন। 

বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য এখানে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ও যোগাযোগ নিশ্চিত করতে কাজ করছে। 

রাষ্ট্রদূতেরা বলেন, তাঁরা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখে অভিভূত ও অনুপ্রাণিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। 

সৌজন্য সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

নবীন উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা শুনলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের পাকিস্তান সফর, প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠক

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সরানো হলো পরিচালক মনিরুজ্জামানকে

গত বছর ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ৬১ শতাংশই নারী: জরিপ

পাঁচ মাসে মাজার-দরগায় ৪৪ হামলা: প্রেস উইং

বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার

লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৪৭ বাংলাদেশি

বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না হুমায়ুনের

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে মতামত দিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ৬ দিন সময়

সস্তায় বিক্রি হচ্ছে শৈশব

সেকশন