নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ফাইজারের আরও ১০ লাখ টিকা চলতি মাসেই দেশে আসছে। আগামী ৩০ আগস্ট এসব টিকা ঢাকায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাইদুল ইসলাম বলেন, আগামী ৩০ আগস্ট সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাতার এয়ারওয়েজের মাধ্যমে আমেরিকা থেকে ফাইজারের এসব টিকা আসবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও আমেরিকার রাষ্ট্রদূত আর. মিলার বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে টিকাগুলো গ্রহণ করবেন।
সোমবার কেবিনেট সভা শেষে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৭ থেকে ৮ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীনের কাছ থেকে কেনা সাড়ে ৭ কোটি টিকাসহ কোভ্যাক্স থেকে ৬ কোটি ৮০ লাখ টিকা আসবে। এই আওতায় থাকা মার্কিন জায়ান্ট ফাইজার-বায়োএন্টেকের ৬০ লাখ টিকা চলতি আগস্ট ও আগামী মাসে আসার কথা জানান মন্ত্রী। তারই অংশ হিসেবে ১০ লাখ টিকা আসছে। পর্যায়ক্রমে বাকি টিকা আসবে বলেও জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ৩১ মে একই মাধ্যমে ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। যা কেবলমাত্র প্রবাসী শ্রমিকদের দেওয়া হয়েছে।
গত ২৭ মে দেশে এই টিকা ব্যবহারে জরুরি অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। অত্যন্ত সংবেদনশীল এই টিকা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। যা রাজধানীর কয়েকটি কেন্দ্র ছাড়া আর কোথাও নেই।
সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) সূত্রে জানা গেছে, জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান (আইপিএইচ), রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষণাগারে এই টিকা সংরক্ষণের সক্ষমতা আছে।
সেরাম ও সিনোফার্মের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ টিকার পাশাপাশি, ভারত ও চীন সরকারের উপহার এবং কোভ্যাক্সের মাধ্যমে দেশে এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৬৮ হাজার ২০৭ ডোজ টিকা।
সোমবার পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৩ কোটি ৫৭ লাখ ১৬ হাজার ৩৮৪ জন। দুই ডোজ মিলে দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৪ হাজার ৪৩৭ টিকা।
এর মধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৪৮ হাজার ৬২২ জনকে। তবে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন মাত্র ৬৭ লাখ ৫৬ হাজার ২১৫ জন। ফলে এখনো কোনো টিকাই পাননি এক কোটি ২০ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ।