ঈদ উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনাল ভার্চুয়ালি পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে দেশের অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনাল আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ এবং এই কোর্ট কর্তৃক জারিকৃত এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণপূর্বক সব ধরনের দেওয়ানি ও ফৌজদারি দরখাস্ত, আপিল, রিভিশন, বিবিধ মামলাসহ সব ধরনের শুনানি গ্রহণ (সাক্ষ্যগ্রহণ ব্যতীত) ও নিষ্পত্তি করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন (দেওয়ানি ও ফৌজদারি) আদালত ও ট্রাইব্যুনালে মামলা করা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সাকসেশন ও অভিভাবকত্ব নির্ধারণবিষয়ক মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি করা যাবে।
এ ছাড়া শারীরিক উপস্থিতি বজায় রেখে আত্মসমর্পণের আবেদন দাখিল করা যাবে। আদালতের কার্যসূচি এমনভাবে করতে হবে যেন জনসমাগম না ঘটে। আত্মসমর্পণের ক্ষেত্রে শারীরিক উপস্থিতিতে শুনানির সময় আত্মসমর্পণকারী ব্যক্তি বা আসামি ও তাঁর নিযুক্ত আইনজীবী ছাড়া অন্য কেউ আদালতে থাকতে পারবেন না। জামিন শুনানির সময় কোনো আসামিকে কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যান বা অন্য কোনোভাবে আদালতকক্ষে হাজির করা যাবে না। রিমান্ড শুনানিতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কারাগারে লিংক পাঠিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি করতে হবে।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবেন।