দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সময় চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। স্পিকারের সাক্ষাৎ চেয়ে আজ রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পক্ষ থেকে সংসদ সচিবালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যেই স্পিকারের সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, তাঁর সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পক্ষ থেকে আজ সংসদ সচিবালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন। চলতি সপ্তাহেই সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানান তিনি।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী চলতি অধিবেশন আগামী ৯ ফেব্রুয়ারিই শেষ হবে। আর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সংসদের অধিবেশন বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কোনো অধিবেশনের প্রয়োজন পড়বে না বলে জানান শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, সংসদের একটি বৈঠকের প্রয়োজন পড়বে।
সিইসির সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলেও জানান স্পিকার।
আইন অনুযায়ী যেদিন ভোটের তারিখ হবে ওই দিন একটি বৈঠকের সময় ঠিক করা হবে। ওই বৈঠকে নির্বাচনী কর্তা (সিইসি) সভাপতিত্ব করবেন।
আইন অনুযায়ী যদি রাষ্ট্রপতি পদে একাধিক প্রার্থী থাকেন তাহলেই কেবল ওই বৈঠকটি বসার প্রয়োজন পড়বে। আর একক প্রার্থী হলে সেটার দরকার হবে না।
নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী একক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে। নব্বই পরবর্তী ১৯৯১ সালেই বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে তৎকালীন সরকার দল বিএনপির প্রার্থী আবদুর রহমান বিশ্বাসের বিপরীতে বদরুল হায়দার চৌধুরীকে প্রার্থী করেছিল আওয়ামী লীগ।
এরপর অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনগুলোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছিল সরকার দলের রাষ্ট্রপতি প্রার্থীরা।
এর আগে রোববার নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তার প্রস্তুতি শুরু করেছে।