নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারকে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের দায়ে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় দেন। পি কে হালদারকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ১০ বছর এবং অর্থ পাচারের দায় ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে পি কে হালদার সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লোপাট করছেন।
রায়ে পি কে হালদারের মা ও আত্মীয়স্বজনসহ তাঁর সহযোগী আরও ১৩ জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, নিকটাত্মীয় পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অবন্তিকা বড়াল, শংখ ব্যাপারী, সুকুমার মৃধা অনিন্দিতা, অনন্য মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ পিপি আহমেদ মীর আব্দুস সালাম পি কে হালদারসহ ১৪ জনের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এই মামলায় অবন্তিকা বড়াল, শংখ ব্যাপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা কারাগারে রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় এই চারজনকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে আবার তাঁদের সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত রায়ে বলেছেন, কারাগারে থাকা আসামিদের কারাবাস সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।
এই চারজন ছাড়া পি কে হালদারসহ ১০ জন পলাতক রয়েছেন। পি কে হালদার ভারতের একটি কারাগারে আটক রয়েছেন বলে জানা গেছে। আদালত রায়ে বলেছেন, পলাতক এই আসামিরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর বা আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাঁদের ক্ষেত্রে এই রায় কার্যকর হবে।
আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হওয়ার পর গত বুধবার আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন। গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ১০৮ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।