নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। দুই মাসের বেশি সময় ধরে কোনো মৃত্যু না থাকলেও আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫১৫ জনের নমুনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৮৭। এ সময় সুস্থ হয়েছেন ১২ জন। এ সময় ৮৯ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
করোনায় এর আগে সর্বশেষ একজনের মৃত্যু হয়েছিল গত ২৮ মার্চে। সে হিসাবে ৬৬ দিন পর আবার মৃত্যুর খবর এল।
দেশে এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৫০৬ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৩১৩ জন। আর মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৪৮ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ওই মাসের ১৮ তারিখ।
দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে। সর্বশেষ গত ২২ থেকে ২৮ মে এক সপ্তাহে করোনা শনাক্তের হার এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৩৩ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে ১৫ থকে ২১ মে পর্যন্ত এর আগের সপ্তাহের তুলনায় শনাক্ত বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশ।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বলছে, এখন করোনা শনাক্তের যে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে, তা জুলাই পর্যন্ত চলতে পারে। কারণ, করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে সংক্রমণের প্রবণতা বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুন ও জুলাই মাসে সংক্রমণ বাড়ে।
এদিকে গত মাসে করোনাভাইরাসের কারণে জারি করা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর পরপর বাংলাদেশ থেকেও তুলে নেওয়া হয়েছে।