নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখরের বেঞ্চ আজ সোমবার রুল জারি করে আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলেছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্টজন পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি করেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া।
আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফয়েজ আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।
পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জকারী অন্য আইনজীবীরা হলেন—ড. তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জুবিরুল হক ভূইয়া ও জারাহ রহমান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন।
ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির পিতা’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এ ছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনসংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়; সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয়। রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।