কাতার বিশ্বকাপ-২০২২-এ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রশংসায় ভাসছে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। ফিফা বিশ্বকাপ জয়ে গত সোমবার আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অভিনন্দনের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ।
গতকাল মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ লেখেন, ‘ধন্যবাদ শেখ হাসিনা এবং সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে। গত কয়েক সপ্তাহে যে মিলন আর পারস্পরিক স্নেহ দেখলাম তা ব্যাখ্যা করার মতো না, আজ এখানে দুটি পতাকাও জ্বলছে। চলো এই বন্ধনকে গভীর করি।’ এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো অভিনন্দন বার্তাটিও শেয়ার করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে, ফুটবলের প্রতি স্নেহ ও ভালোবাসা, বিশেষ করে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল, আমাদের দুই দেশের জনগণকে গভীরভাবে সংযুক্ত করে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনার জাতীয় ফুটবল দলের বিশ্বকাপ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রশংসা ও ভালোবাসার পরিচয় দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের জনগণের মধ্যে এই অভূতপূর্ব ভালোবাসা এবং স্নেহ, দৃঢ় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পথ প্রশস্ত করেছে।’
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী দিনে একে অপরের রাজধানীতে মিশন খোলার মাধ্যমে সম্পর্ককে আরও সুসংহত করবে।
এদিকে আজ বুধবার সকালে রাজশাহীর বাঘায় আনসার-ভিডিপির মডেল ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থকদের উন্মাদনা দেখে আর্জেন্টিনা অভিভূত হয়েছে। দেশটি বাংলাদেশে তাঁদের দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হয়তো খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘খেলা চলাকালীন বাংলাদেশের উচ্ছ্বাস তাঁদের (আর্জেন্টিনা সরকারের) নজরে এসেছে এবং তাঁদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন্তু আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটা টুইট করে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত পরশুদিন আর্জেন্টাইন রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে একটা চিঠি দিয়েছেন এবং তাঁর প্রত্যুত্তরে বাংলাদেশ সময় আজ ভোরে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি চিঠিটাকে ছবি দিয়ে ট্যাগ করে টুইট করেছেন। খুব শিগগিরই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করতে চান, দুই দেশের সম্পর্ক গভীর করতে চান এবং তিনিও বলেছেন যে, তাঁরা তাঁদের দূতাবাস খোলার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে আগ্রহী।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা আশাবাদী। খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়। এ ধরনের আলোচনা কিন্তু ক্লোজ ডোরে হয়। কিন্তু এবার আলোচনাটা ওপেন ফ্লোরে হয়েছে। ওপেন ফ্লোরে যখন আলোচনা হয়, তখন তাঁরা কিন্তু অলরেডি কমিটেড হয়েই গেছেন। তা না হলে এ ধরনের সিদ্ধান্ত কিন্তু ফাইল চালাচালি হয়, নেগোসিয়েশন হয় তারপর ঘোষণার সময় জনগণ জানতে পারে।’